ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

লামা শহরে ঝিরি ও সড়ক জবর দখলের অভিযোগ

ffমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

বান্দরবানের লামা পৌর শহরের চেয়ারম্যান পাড়ায় সরকারী ঝিরি ও সড়কের জায়গা অবৈধভাবে জবর দখল করে রিটানিং ওয়াল ও দোকানঘর নির্মাণ করার অভিযোগ করেছে স্থানীয় জনসাধারণ। চেয়ারম্যান পাড়ার নারকাটা ঝিরি এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে ফার্নিচার ব্যবসায়ী মো. আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে জবর দখলের অভিযোগ এনে স্থানীয় জনসাধারণ বান্দরবান জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, লামা পৌরসভার চেয়ারম্যান পাড়ার ‘নারকাটা ঝিরিটি’ ৪নং ওয়ার্ডের পূর্ব প্রান্ত চাইলতার পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে পৌরসভার ৪নং ও ২নং ওয়ার্ডের উপর দিয়ে মাতামুহুরী নদীতে এসে পড়েছে। চেয়ারম্যান পাড়ার নারকাটি ঝিরির কাসেমের দোকান সংলগ্ন ঝিরির মাঝখানে ফার্নিচার ব্যবসায়ী মো. আলাউদ্দিন জোর পূর্বক রিটানিং ওয়াল তুলে ঝিরির মূল অংশ দখল করে নিয়েছে। বর্তমানে মূল ঝিরিতে দোকানঘর নির্মাণ করে জবরদখলের চেষ্টা করছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদের হস্তক্ষেপে আপাতত দোকানঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। আলাউদ্দিন যে কোন মূল্যে ঝিরির জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণের ঘোষণা দিলে স্থানীয় জনসাধারণ ঝিরিটি পূনরুদ্ধার ও রক্ষা করতে জেলা প্রশাসক বান্দরবান এর বরাবরে লিখিত আবেদন করেছে।

আরো জানা গেছে, আলাউদ্দিন পেশায় একজন কাঠ ও ফার্নিসার ব্যবসায়ী। তার এই জবরদখলে কারণে নারকাটা ঝিরিটি সংকুচিত হয়ে আসছে আবার আশপাশের দু’পাড় ভেঙ্গে যাচ্ছে। তাছাড়া আলাউদ্দিন ওয়াল তৈরি করে মাটি ভরাট করতে গিয়ে সরকারী রাস্তা ও ড্রেন ভেঙ্গে নষ্ট করেছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত কষ্ট করতে হচ্ছে অত্র এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে। চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। লামা উপজেলার সৃষ্টি থেকে প্রবাহমান এই ঝিরিটি এইসব অবৈধ দখলদারদের থেকে উদ্ধার করতে প্রশাসনের কার্যকরী হস্তক্ষেপ চেয়েছে এলাকাবাসি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আলাউদ্দিন বলেন, জেলা প্রশাসনকে আমি জবাব দিব।

৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. রফিক বলেন, মাটি ভরাট করতে গিয়ে রাস্তা ড্রেন নষ্ট করলেও তা পরে মেরামত করে দিয়েছে। অপরদিকে সংবাদ লেখা পর্যন্ত চলাচল রাস্তা ও ড্রেন মেরামত করা হয়নি বলে জানায় অভিযোগকারীরা।

লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম সাংবাদিককে বলেন, জনস্বার্থ বিঘœ হয় এমন কোন কার্যক্রম বরদাস্ত করা হবেনা।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরজমিনে তদন্ত করে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোন ক্রমে সরকারী ঝিরি ও খাস জমি দখল করতে দেয়া হবেনা।

পাঠকের মতামত: